শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
নির্বাহী সম্পাদক:
পিআর পদ্ধতি ও নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত ২০ (বিশ) হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ ও পোস্টার নিষিদ্ধ করার দাবীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। আজ ১ নভেম্বরর শনিবার সকাল ১১টায় বাংলামটর মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, শান্তি ফিরে আসবে, নির্বাচন ব্যবস্থার সংষ্কারের মাধ্যমে দেশে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালিন সরকার দেশবাসীকে চরমভাবে হতাশ করেছে। চারিদিকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, একের পর এক অগ্নিকান্ড, একের পর এক শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়া, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ হওয়া, আইন-শৃংখলা বাহিনীর চরম অবনতি-সব মিলিয়ে দেশবাসী আজ অতিষ্ঠ।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন আরও বলেন, সরকারের উচিৎ দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহনমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া। কিন্তু বিদ্যমান পরিবেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করেন না। অতীতে সব নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে। ডিসি-ইউএনওদের পরিবর্তে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও মর্যাদা বাড়িয়ে তাদেরকে রিটানিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার করতে মানববন্ধনে দাবী করা হয়।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছিল আগামী নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার থাকবে না। কেননা পোস্টারের ব্যবহার পরিবেশের জন্য হুমকী স্বরূপ এবং কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করে। তাছাড়া শোডাউন করে নির্বাচনী প্রচারনা না করে প্রচারনায় শুধু লিফলেট ও মাইক ব্যবহার পূর্বক জনসংযোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত আরপিওতে বিষয়টি আনা হয়নি যা হতাশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত ৫০ হাজার টাকা করাটা ঠিক হয়নি। জামানত ২০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণের দাবী জানান তিনি।
আনুপাতিক প্রতিনিধি (পিআর) পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন দেয়ার আহবান জানিয়ে এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে আনুপাতিক প্রতিনিধি (পিআর) পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। সংবিধানের ৬৫(৩) অনুসারে নারী সংসদ সদস্যরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন। অর্থাৎ বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি সংবিধান স্বীকৃত। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে; অধিক সংখ্যক দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব পায় যা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটায় এবং নীতি নির্ধারণে বহুমাত্রিক মতামত যুক্ত হয়; প্রতিটি ভোট আসন বন্টনে ভূমিকা রাখে, ফলে সম্মানিত ভোটারদের ভোটের মূল্যায়ন হয় যা ভোটের অপচয় কমায়; বহুদলীয় ও সমঝোতামূলক রাজনীতিকে উৎসাহিত করে যা একক কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি কমায় এবং সিদ্ধান্তগুলো তূলনামূলকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হয়; জনগণের মতামতের প্রতিফলন বেশী হয়; রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের জবাবদিহিতা বাড়ায় এবং ভোটের মূল্যায়ন হওয়ায় ভোটারদের আগ্রহ বাড়ায়।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মহাসচিব শাহজালাল আমিরুল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ’র সভাপতি মোঃ হাসান, জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বিএনজে’র চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খোরশেদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের উপদেষ্টা পরশ ভাসানী, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা আনোয়ার ভুইয়া রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তুষার রহমান, সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ মাইনুল ইসলাম, কৃষি, খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহমেদ, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক সুমন মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।